শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫, ১০:৫৩ অপরাহ্ন

সর্বশেষ সংবাদ :
কুয়াকাটায় ২দিন ব্যাপী শিক্ষক মিলনমেলা অনুষ্ঠিত বরিশালে নারীপক্ষের আয়োজনে তরুণ প্রজন্মের সফলতার গল্প শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত বাউফলে জেলা প্রশাসকের শুভ আগমন উপলক্ষে মতবিনিময় সভা বাউফলে জেলেদের মাঝে (বিজিএফ) এর চাল বিতরণে অনিয়ম স্বল্পমূলে তৈরিকৃত ১৯২ জন জেলেদের মাঝে লাইফবয়া বিতরণ পটুয়াখালী র‍্যাব ক্যাম্পে,ঘুমন্ত অবস্থায়  র‍্যাব সদস্যর মৃ/ত্যু কলাপাড়ায় প্রতিষ্ঠান প্রধানদের সাথে ইউএনও’র মত বিনিময় বাউফলে সড়ক দুর্ঘটনায় ২ স্কুল শিক্ষকসহ আহত-৩ মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান ২০২৫ কলাপাড়ায় বৌদ্ধবিহার গুলোতে উদযাপিত হচ্ছে প্রবারনা পূর্ণিমা কুয়াকাটা সৈকত থেকে অজ্ঞাত যুবকের অর্ধগলিত ম/র/দে/হ উদ্ধার মহিপুরে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত দোকানিদের টিন ও নগদ টাকা প্রদান সাংবাদিকদের সাথে শিক্ষক নেতৃবৃন্দের মতবিনিময় বাউফলে এক গৃহবধূর গর্ভে এক সঙ্গে পাঁচ নবজাতকের জন্ম পটুয়াখালীর গলাচিপায় র‍্যাবের বিশেষ অভিযানে ১২শ কেজী পলিথিন জব্দ,
বরিশালে জমে উঠেছে ঈদ মার্কেট

বরিশালে জমে উঠেছে ঈদ মার্কেট

Sharing is caring!

এস এল টি তুহিন : ঈদের বাকি মাত্র আর ৮ দিন।  সকাল থেকেই বরিশালের মার্কেট গুলোতে ক্রেতাদের ছিল উপচে পড়া ভিড়। অন্য দিকে লক্ষ করা গেছে সড়কের ফুটপাতের গরীবের মার্কেট ও জমতে শুরু করেছে। বৈশ্বিক করোনার কারণে গত দুই বছর জমেনি বরিশালের ঈদের বাজার।

তবে দুই বছর পর এবার রোজার শুরু থেকেই মার্কেমুখী মানুষের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মত। আজ বরিবার দুপুরে নগরীর চকবাজার মার্কেট থেকে শুরু করে সবকটি মার্কেট ও বিপণিবিতানে এখন মানুষের স্রোত। ২২ রমজান শেষে হওয়ায় অনেকেই সেরে ফেলতে চাইছেন ঈদের কেনাকাটা।

তবে বিক্রেতারা জানিয়েছেন, মানুষের ভিড় বেশি হলেও বেচাবিক্রি তুলনামূলক মোটামুটি। সকাল থেকেই  দুপুর পযর্ত নগরীর চকবাজার, হাজী মোহাম্মাদ মহাসিন মার্কেট সহ বিভিন্ন মার্কেটেও ক্রেতাদের ভিড় দেখা গেছে চোখে পড়ার মত। তীব্র তাপমাত্রা উপেক্ষা করে নগরীতে গড়ে ওঠা শপিংমল ছাড়াও চকবাজার মার্কেট, বিভিন্ন পোশাকের শোরুম ও ফ্যাশন হাউসগুলোয় বেড়েছে ক্রেতাদের চাপ।

তবে করোনাভাইরাস সংক্রমণ গত বছরের চেয়ে এবার কম থাকায় অর্থা নিয়ন্ত্রনে রয়েছে তাই ঈদকে কেন্দ্র করে বিপণিবিতানগুলোতে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ করা যাচ্ছে। তবে স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে উদাসীনতা নেই বলেই চলে। ক্রেতারা মানছেন না সামাজিক দূরত্ব। ফলে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ছে। সরেজমিন দেখা গেছে, ঈদ সামনে রেখে বরিশালের চকবাজার মার্কেটে ক্রেতাদের প্রচ- ভিড় সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে দোকান মালিকরা।

স্বাস্থ্যবিধি মানার বালাই নেই। ক্রেতারা সামাজিক দূরত্ব মোটেই মানছেন না, তাদের বেশির ভাগের মুখেই নেই মাস্ক। মালামাল কিনতে গিয়ে যেন দোকানগুলোতে হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন ক্রেতারা। চকবাজারে পছন্দের পোশাক কিনতে নগরীর কাউনিয়া থেকে আশা গৃহবধূ মুন্নি আক্তার বলেন, আজ ২০ রমজান, ঈদের আর বেশি দিন বাকি নেই। তাই শুক্রবার সরকারীর ছুটির দিন থাকায় সাহেবকে সাথে নিয়ে মার্কেটে আসছি। এখনও ঘুরে ঘুরে দেখছি। পছন্দ করে উঠতে পারছি না।

গরমে সুতি কাপড়ের জামা খুঁজছি, কিন্তু যেগুলো পাওয়া যাচ্ছে তা সিল্ক নয়তো জর্জেট। নগরীর সদর রোর্ড টপটেন ও ইজি, ফ্যাশন হাউজ সহ উন্নত মানের ব্রান্ডের দোকানগুলোতেও ভিড় দেখা গেছে চোখে পড়ার মত। বিউটি নামে এক গৃহবধূ বলেন, রোদের তেজে রাস্তায় পা ফেলাও কঠিন। তবে রোদের এই তেজ বাধা হতে পারেনি বরিশালে ঈদবাজারে। তীব্র রোদে, অসহ্য গরমেও এ দোকান ওদোকান ঘুরে নিজের পছন্দের কেনাকাটা করছেন মার্কেট আসা আমার মত অনেক ক্রেতারা। ভিড় আর গরমের দুর্ভোগেও সাধ্যের মধ্যে পছন্দমতো কেনাকাটা করতে পেরে খুশি আমি।

আর বিক্রেতারা বলছেন, পবিত্র ঈদ-উল- ফিতরের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই ভিড় বাড়ছে বরিশালের বিপণিবিতানগুলোতে। প্রতিদিনই অসহ্য গরম উপেক্ষা করে সকাল থেকে রাত অবধি বেচাকেনা চলছে। আর গত শুক্র-শনিবার ছুটির দিন হওয়ায় মার্কেটগুলোতে ছিল উপচেপড়া ভিড়। রবিবার (২২ এপ্রিল) সকাল থেকে ক্রেতাদের ভিড়ের কারনে দমফেলার সময়ও পাচ্ছি না। কারন ঈদের বাকি মাত্র আর ৮ দিন।

এমন বেচাবিক্রি ঈদ পর্যন্ত চললে গত দুই বছর করোনার যে ক্ষতি হয়েছিল, সেটা অনেকটাই কাটিয়ে উঠতে পারবেন বলে আশা করেছেন পোশাক বিক্রেতাদের। বরিশালে কাটপট্টির দর্জিপাড়া, সদর রোর্ডের শপিংমল গুলো, চকবাজার,মহাসিন মার্কেট, সিটি মার্কেট সহ বিতানগুলো রমরমা হয়ে উঠেছে। পোশাকের প্রতিটি দোকানে বেড়েছে ভিড়। শুধু পোশাকের দোকানে নয়, পিছিয়ে নেই জুতার দোকানগুলোও। তাদের বেচাকেনা চলছে রমরমা। লিবার্টি, বাটা, এ্যাপেক্সসহ ব্র্যান্ডের দোকানগুলোতে ক্রেতাদের ভিড়। যে যার পছন্দের জুতা কিনছেন।

চকবাজার মার্কেটের চাঁদনী ডিপাটমেন্ট স্টোরের স্বত্বাধিকারী মানিক বলেন, গত দুই বছর করোনার কারণে মানুষের কাছে তেমন টাকাপয়সা ছিল না। এবার করোনা এবং মানুষের আর্থিক অবস্থাও অনেকটা ঘুরে দাঁড়িয়েছে। এবার ঈদ বাজার অগের মতই স্বাভাবিক হচ্ছে।

এমন অবস্থা থাকলে বিগত দুই বছরের ক্ষতি কিছুটা কাটিয়ে উঠব। এদিকে ক্রেতাদের অভিযোগ এবছর সব ধরনের পোষাক ও জুতার দাম দ্বিগুন নিচ্ছে দোকানিরা। এদিকে প্রশাসনের তেমন কোন নজর নেই বলেই চলে। তাই প্রসাশনের পক্ষ থেকে মনিটরিং করা খুবই জরুরী বলে দাবি জানাচ্ছেন তারা।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © crimeseen24.com-2024
Design By MrHostBD